শুকরিয়া আদায় মানে হলো পরম দয়ালু আল্লাহর কাছে তাঁর অসীম দয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আল্লাহর অনন্ত রহমতে আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি এবং তাঁর অসংখ্য নিয়ামতের মাধ্যমেই বেঁচে আছি। আমাদের জীবন নানা পরীক্ষায় ভরা—কখনো সুখে, কখনো কষ্টে। এসব অবস্থায় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা আমাদের ফরজ, আর এই কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশই হলো ‘শুকরিয়া আদায়’। যখন আমরা আল্লাহর অশেষ রহমতের কথা স্মরণ করি, তখন মন শান্ত হয় এবং হৃদয় ধন্য হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা আমাদের জীবনের একটি সুন্দর আমল হওয়া উচিত।
আল্লাহ আমাদের জীবনকে নানা ভাবে পরীক্ষিত করেন—সুখের মুহূর্তে ধৈর্য রাখতে শেখান, দুঃখের সময়ে সবর করার তৌফিক দেন। এই সমস্ত পরীক্ষায় আমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, এটিই হচ্ছে প্রকৃত শুকরিয়া আদায়। অনেকেই ফেসবুকে আল্লাহর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সুন্দর ও অর্থবহ শুকরিয়া আদায় স্ট্যাটাস খুঁজে থাকেন। তাই আজ আমরা কিছু নতুন ও মন ছুঁয়ে যাওয়া স্ট্যাটাস শেয়ার করবো, যেগুলো যেকোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর নিয়ামত স্মরণ করিয়ে দেবে।
শুকরিয়া আদায় স্ট্যাটাস ২০২৫
ফেসবুকে বা অন্য কোথাও আল্লাহর জন্য কৃতজ্ঞতার সুন্দর কথাগুলো পেতে অনেকে গুগলে সার্চ করেন। তাদের জন্য আজকের সংগ্রহে রয়েছে বিশেষ কিছু নতুন আলহামদুলিল্লাহ ও শুকরিয়া স্ট্যাটাস, যা সহজে হৃদয়ে ছাপ ফেলবে।
জীবনে যা কিছু ভালো পাই, সবই আল্লাহর রহমত। শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ।
আমার কষ্টের মাঝেও যে শান্তি আছে, সেটাও আল্লাহর দেওয়া। শুকরিয়া।
যখন কিছুই ঠিকঠাক হয় না, তখনো আল্লাহকে স্মরণ করি — কারণ তিনিই একমাত্র ভরসা।
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাকে হতাশা থেকে বাঁচায়।
যা নেই, তার জন্য দুঃখ নয়— যা আছে, তার জন্য শুকরিয়া।
কষ্ট এলেও বলি— “আলহামদুলিল্লাহ”, কারণ এতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত থাকে।
যে মনের মধ্যে কৃতজ্ঞতা আছে, সে সর্বদা সুখী।
নামাজ পড়ে চোখে জল আসে — এটা কি কম নিয়ামত? শুকরিয়া হে প্রভু।
ছোট ছোট নিয়ামতের জন্যও শুকরিয়া জানানো উচিত, কারণ এগুলোই জীবনের বড় অংশ।
চলার পথে কিছু না পেলে আফসোস নয়, বরং শুকরিয়া আদায় করি যতটুকু পেয়েছি তার জন্য।
আল্লাহ যেটুকু দেন, সেটুকুই যথেষ্ট। শুকরিয়া।
আমি জানি, আমার প্রার্থনা আল্লাহ শুনছেন— এ বিশ্বাসই শান্তি দেয়।
দুনিয়া কাঁদালেও রাব্বুল আলামিন শান্তি দেন। শুকরিয়া!
আজ যেটুকু পেয়েছি, কাল হয়তো তার চেয়েও বেশি পাব। আল্লাহর উপর ভরসা ও শুকরিয়া।
যারা সবকিছুর মাঝেও শুকরিয়া জানায়, তারা আসল সফল মানুষ।
শুকরিয়া মানে শুধু মুখে বললে হবে না, কাজে প্রমাণ দিতে হবে।
বৃষ্টি হোক, রোদ হোক— শুকরিয়া সব অবস্থায়।
চিন্তা ছিল, দোয়া করেছি — আল্লাহ শুনেছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
জীবন যত কঠিনই হোক, বিশ্বাস রাখি আল্লাহর পরিকল্পনায়।
যতবার দোয়া করেছি, ততবারই আল্লাহ নতুন কিছু শিখিয়েছেন। শুকরিয়া।
আমাদের জীবনের প্রতিটি নিঃশ্বাসই এক একটি নিয়ামত।
পৃথিবীর সব সুখ চাই না, শুধু সন্তুষ্ট থাকতে চাই আল্লাহর দেওয়ায়।
মন শান্তি খুঁজে পায় যখন বলি— আলহামদুলিল্লাহ।
ছোট একটা দোয়া — “হে আল্লাহ, তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
প্রতিদিন সকালে উঠে প্রথম কাজ: শুকরিয়া আদায় করা।
আলহামদুলিল্লাহ ক্যাপশন বাংলা
আমাদের জীবনের প্রতিটি নিয়ামতের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকা আমাদের অতি জরুরি। সুখ-দুঃখ যেখানেই থাক, আল্লাহর রহমত ও দয়ার কথা মনে রেখে প্রতিদিন আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
জীবন যেমনই হোক, আলহামদুলিল্লাহ বলেই শুরু করি।
আমার গল্পের একমাত্র নায়ক — আল্লাহ।
ক্যামেরা নয়, হৃদয়ের ফোকাসে — আলহামদুলিল্লাহ।
পিক সুন্দর হলে নয়, মনে শান্তি থাকলেই ক্যাপশন: আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিটি মুহূর্তের ক্যাপশন — “আলহামদুলিল্লাহ!”
আলহামদুলিল্লাহ — আমার প্রতিদিনের স্টাইল।
ছবি ভালো না হলেও, মন ভালো — আলহামদুলিল্লাহ!
আজ যা আছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ। #Alhamdulillah
সুখ মানে বাহিরে নয়, ভেতরে — আলহামদুলিল্লাহ।
যতই ফিল্টার দাও, ততই বুঝি — আসল শান্তি আল্লাহর কাছে।
আমার জীবনের বেস্ট ক্যাপশন — “আলহামদুলিল্লাহ”।
ঘুরে বেড়াই দুনিয়া, কিন্তু শান্তি শুধু এক জায়গায় — আল্লাহর নাম।
চোখে জল থাকলেও মুখে হাসি — কারণ আলহামদুলিল্লাহ।
ক্যামেরা ধরতে পারবে না, এই শান্তির অনুভূতি!
আজকের হাসির পিছনে হাজারো শুকরিয়া।
স্ট্যাটাস না, এটা আমার জীবনদর্শন — আলহামদুলিল্লাহ।
মুখে শুধু একটিই শব্দ, অন্তরে অশেষ প্রশান্তি।
ছবির চেয়ে ক্যাপশনেই গুরুত্ব — “আলহামদুলিল্লাহ!”
সেলফি তোলা সহজ, কিন্তু শুকরিয়া আদায়ে আসল সৌন্দর্য।
হাজার ক্যাপশনের চেয়ে একটি শব্দেই শান্তি — Alhamdulillah।
আলহামদুলিল্লাহ স্ট্যাটাস
যখন কোনো ভালো খবর আসে বা কোনো কষ্ট থেকে মুক্তি পায়, তখন ফেসবুকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইলে নিচের আলহামদুলিল্লাহ স্ট্যাটাসগুলো থেকে পছন্দ করতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বলি — আলহামদুলিল্লাহ!
প্রতিটি নিঃশ্বাসেই আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত।
ভালো হোক বা খারাপ, বলো — আলহামদুলিল্লাহ।
যে আল্লাহকে মনে রাখে, সে কখনো একা না।
দিনশেষে বলি — আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখনও বেঁচে আছি।
হৃদয়ের শান্তির শব্দ — “আলহামদুলিল্লাহ”।
যার মুখে আলহামদুলিল্লাহ, তার হৃদয়ও প্রশান্ত।
খুশির সময় বলি আলহামদুলিল্লাহ, দুঃখের সময়েও বলি।
আলহামদুলিল্লাহ — কারণ আমি মুসলমান।
সবার আগে আল্লাহ, সবার পরে আলহামদুলিল্লাহ।
যেটুকু আছে, তা অনেক। আলহামদুলিল্লাহ!
আমার চাওয়ার আগে আল্লাহ জানেন আমার প্রয়োজন।
অনেকেই যা খুঁজে পায় না, আমি তা পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
যখন পথ হারাই, তখনও আল্লাহ পথ দেখান।
আলহামদুলিল্লাহ — কারণ আমি এখনও দোয়া করতে পারি।
প্রতিটি মুহূর্তেই আল্লাহর রহমত ভরপুর।
মন ভরে গেলে বলো, আলহামদুলিল্লাহ।
সব কিছু পাওয়ার পরও যদি শুকরিয়া না করি, তবে সেটা অকৃতজ্ঞতা।
চোখে আলো, হৃদয়ে শান্তি— সবই আল্লাহর দেওয়া।
আলহামদুলিল্লাহ বলা মানে নিজের অন্তরকে ধন্য করা।
আলহামদুলিল্লাহ শুকরিয়া স্ট্যাটাস
আলহামদুলিল্লাহ শুকরিয়া স্ট্যাটাস শেয়ার করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইলে, নিচের স্ট্যাটাসগুলো থেকে আপনার পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন, বিশেষ করে সুখ-দুঃখের সময়।
আলহামদুলিল্লাহ বললেই মনটা হালকা হয়ে যায়।
শুকরিয়া আর আলহামদুলিল্লাহ — দুই শব্দেই হাজার শান্তি।
যা পেয়েছি, তার জন্য শুকরিয়া। যা পাইনি, তাতেও আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ যা দেন, তা কখনোই ক্ষতি হয় না।
কোনো দিন খালি হাতে ফিরিনি, কারণ শুকরিয়া বলার মতো অনেক কিছু পেয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ বলা মানে আল্লাহর কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ।
সুখে-দুঃখে, হেসে-কেঁদে — সর্বদা বলি আলহামদুলিল্লাহ।
যখন কিছুই চাই না, তখন শুধু বলি — শুকরিয়া হে আল্লাহ।
দুনিয়া কিছু না, আল্লাহর রহমতই সবকিছু।
আমার দুঃখের মধ্যেও আল্লাহর রহমতের ছোঁয়া আছে।
মনে রেখো, শুকরিয়া করলেই নিয়ামত বাড়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, কারণ এখনও আমার দোয়া আল্লাহ শুনছেন।
শুকরিয়া মানে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
আমি আজ যা আছি, সবই আল্লাহর দয়া।
আলহামদুলিল্লাহ — কারণ এই জীবনটা এখনো চলছে।
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় আমি দেখি আল্লাহর কৃপা।
আমি কম চাই, বেশি শুকরিয়া আদায় করি।
আল্লাহ আমার জন্য যা ভালো, সেটাই দেন — তাই শুকরিয়া।
প্রতিটি মুহূর্তেই আল্লাহ আমাকে কিছু না কিছু শিখাচ্ছেন।
হে আল্লাহ, তোমার প্রতি যতবার শুকরিয়া জানাই, ততবারই শান্তি পাই।
আল্লাহর শুকরিয়া নিয়ে স্ট্যাটাস
যেকোনো ভালো সংবাদ বা বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফেসবুকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইলে নিচের আল্লাহর শুকরিয়া নিয়ে স্ট্যাটাসগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
হে আল্লাহ, আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ প্রতিটি নিঃশ্বাসের জন্য।
যা কিছুই পাই, সবকিছুতেই তোমার শুকরিয়া জানাই।
আল্লাহর শুকরিয়া কখনোই বৃথা যায় না।
আমি যা চেয়েছি, তার চেয়ে ভালোটাই দিয়েছো। শুকরিয়া!
কারো দিকে না তাকিয়ে, শুধু তোমার দয়ার দিকেই চেয়ে থাকি।
আল্লাহর শুকরিয়া — কারণ তিনিই আমার আশা, আমার শান্তি।
দুনিয়ার মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে নেন না।
আমি অল্পতেই তুষ্ট, কারণ আমার আল্লাহ মহান।
প্রিয় আল্লাহ, তোমার প্রতি শুকরিয়া প্রতিটি কঠিন সময়ে সাথেই ছিলে।
আল্লাহর দয়া ছাড়া আমি কিছুই নই।
জীবনের প্রতিটি উত্তরণে আল্লাহর শুকরিয়া করি।
অনিশ্চয়তা মাঝে একমাত্র নির্ভরযোগ্য — আমার আল্লাহ।
কষ্টেও শান্তি — যদি শুকরিয়া করতে জানো।
সব কিছু পাওয়ার পর যেটা সবচেয়ে জরুরি — আল্লাহর শুকরিয়া।
রিজিক, শ্বাস, জীবন — সবই তাঁর দান। শুকরিয়া হে প্রভু।
আমার সফলতার পেছনে একটাই নাম — আল্লাহ।
যে আল্লাহর শুকরিয়া করে, তার রিজিক কমে না, বাড়ে।
শুকরিয়া শুধু মুখে না, কাজে দেখাও।
সুখ চাও? তাহলে শুকরিয়া শিখো।
আল্লাহর শুকরিয়া এমন এক দোয়া, যা প্রতিটি দুঃখকে শান্তি বানায়।
শেষ কথা
শুকরিয়া আদায় করা হলো আমাদের হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা ও আল্লাহর প্রতি সম্মানের এক নিদর্শন। প্রতিদিন আমরা যতই জীবনের নানা ঘটনা সামলাই, নিয়মিত আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালে আমাদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। ঈমানের পথ চলার মধ্যে কৃতজ্ঞ থাকার অভ্যাস আমাদের জীবনের জন্য বরকত এবং শান্তি বয়ে আনে। নিজেকে এবং অন্যদের এই সৌন্দর্য দিয়ে অনুপ্রাণিত করুন, যেন আমরা সবাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায়কারী হয়ে উঠি।
আল্লাহর নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শুধু একটা দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের বিশ্বাসের শক্তিশালী ভিত্তি। যখন আমরা প্রতিদিন ছোট-বড় নিয়ামতকে মনে রেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, তখন আমাদের মন শান্তি ও আনন্দে পূর্ণ হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর দয়া স্মরণ করতে পারলে, সুখ-দুঃখ নির্বিশেষে আমরা ধৈর্য ও আশাবাদের সঙ্গে চলতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধন্যবাদজ্ঞাপনকারী বানানোর তৌফিক দান করুন, যেন আমরা সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে জীবন যাপন করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ।

আমি একজন বাংলা ভাষার লেখক, যিনি শব্দের মাধ্যমে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে চেষ্টা করি। বিগত ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি বাংলা ভাষায় লেখা লিখির কাজ করছি। এখানে আমি বাংলা ক্যাপশন, শুভেচ্ছাবার্তা ও অনুপ্রেরণামূলক লেখা লিখির কাজ করছি। bangla-captions.com নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছি, যার মাধ্যমে মানুষ সহজেই মনের মতো বাংলা ক্যাপশন, বাংলা স্ট্যাটাস, বাংলা ছন্দ, বাংলা দর্শন,বাংলা শায়েরী, বাংলা বার্তা, উক্তি ও বাণী, নীতি বাক্য, বিবাহ বার্ষিকী শুভেচ্ছা, বিবাহ বার্ষিকী শুভেচ্ছা, এবং নানা উপলক্ষের জন্য মানানসই কথামালা খুঁজে পেতে পারে—বাস্তব, কল্পনা, অনুভূতি আর জীবনের রঙ নিয়ে আমার লেখাগুলো সাজানো।